চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মালেন বিজ্ঞানীরা
প্রথমবারের মতো চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে চাঁদের বুকে মানুষের বসবাস সম্ভব করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো মানবজাতি।
শুক্রবার (১৩ মে) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে অ্যাপোলো মিশনে সংগ্রহ করা চাঁদের মাটির নমুনায় ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দলের গবেষণায় এ গাছ ফলানো হয়েছে।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক অ্যানা-লিসা পল বলেন, চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাতে পেরে তারা প্রথমে খুবই বিস্মিত হয়েছিলেন। প্রথম ছয়দিন চাঁদের মাটিতে জন্মানো গাছগুলো স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল। তবে তারপর সেগুলোর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে শুরু করে।
নাসা’র প্রধান বিল নেলসন বলেন, নাসার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলোর ওপর এই গবেষণার প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। চাঁদ ও মঙ্গলে পাওয়া সম্পদ ব্যবহার করে মহাকাশে বসবাসকারী নভোচারীদের জন্য খাবারের উৎস তৈরি করতে এই গবেষণা সহায়তা করবে।
এছাড়াও পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে খাদ্য অপ্রতুল সেসব স্থানের প্রতিকূল পরিবেশে চাষাবাদের নতুন উপায় খুঁজে বের করতেও নাসাকে সহায়তা করবে এই গবেষণা।
তবে বিজ্ঞানীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পরীক্ষানিরীক্ষা করার মতো যথেষ্ট চাঁদের মাটি তাদের কাছে নেই। এই গবেষণা করার জন্য বিজ্ঞানীদের গাছপ্রতি মাত্র এক গ্রাম মাটি দেয়া হয়েছিলো, যা গত কয়েক দশক ধরে সংরক্ষিত ছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রথমবার চাঁদে পা রাখার পর আগামী ২০২৫ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা।