ডলারের দাম স্যাটেলের মাধ্যমে জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের দাম কমানোর চেষ্টা চলছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

0 223

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব বাজারে সব কিছুর দাম কমলেও ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা সেই সুবিধাটি পাইনি। ডলারের দাম স্যাটেলের মাধ্যমে জ্বালানি ও সয়াবিন তেলের দাম কমানোর চেষ্টা চলছে।

আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে সব জিনিসের দাম কমেছে। যেমন তেলের দাম কমেছে। পাশাপাশি যেটা সমস্যা হয়েছে, সেটা হলো ডলারের দামটা বেড়ে গেছে। এজন্য আমরা এই দাম কমে যাওয়ার সুবিধাটি পাইনি। আশা করছি, ডলারের দামটা স্যাটেল হবে। স্যাটেল হলে আমরা সয়াবিন তেলের দাম ফিক্সেশন নিয়ে বসবো। সার্বিক অবস্থায় বলা চলে দেড়-দুই মাসের মাথায় সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমে আসবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ভারতসহ সব দেশে আমদানি আইটেম পণ্যের দাম আমাদের থেকে বেশি আছে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক যে অবস্থা, সে কারণে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে এখানে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের লোকাল পরিবহন এবং সব কিছুর ওপরই প্রভাব পড়েছে। গ্লোবাল মার্কেটে জ্বালানির দাম কমছে। তাই আমরা খুব আশাবাদী।

তিনি বলেন, দু’দিন ধরে দেখছি ডিমের দামটা একটু বেড়েছে। আলোচনা চলছে ডিমের কি রাইট প্রাইজ হওয়া উচিৎ। ট্যারিফ কমিশন আলোচনা করে ঠিক করবে আশা করি। দেশে সব জিনিসের দামের যে ঊর্ধ্বগতি, এতে ট্যারিফ কমিশনের ফলাফল জানাবে যে দামটা বৃদ্ধি হয়েছে তা যৌক্তিক কিনা।

তিনি আরো বলেন, চালের দাম, সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সবকিছু আমরা মনিটরিং করছি।

টিপু মুনশি বলেন, ভারত আমাদের কাছে তাদের উত্তর-পূর্ব স্থানগুলো ট্রানজিট চেয়েছে, আমরাও ভারতের পোর্ট ব্যবহারের কথা জানিয়েছি। এসব প্রাথমিক আলোচনা। বারবার আমরা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির কথা বলেছি। তিস্তা নদী মূলত পশ্চিমবঙ্গের কনসার্ন, তাদেরও এ বিষয়ে পজেটিভ আশা করা যাচ্ছে। যদি সেটা হয়ে যায় তাহলে এ ব্যাপারেও স্যাটেলমেন্ট হয়ে যাবে। ভারত সফর সব কিছু মিলিয়ে পজেটিভ হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল, অবজারভেশন ছিল, দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী সব শুনেছেন, বিবেচনায় আনবেন বলেছেন। আশা করা যায় বেশ বড় অ্যামাউন্ট বিনিয়োগ হবে। বিশেষ করে আদানি গ্রুপ বড় বিনিয়োগ করবে। পোল্ট্রি, জ্বালানি, ট্রান্সপোর্ট, রেলওয়ে, এগ্রো প্রসেসিং বিষয়ে তারা উৎসাহ দেখাচ্ছে। আমরাও এ ব্যাপারে আশাবাদী।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে দোকান মালিক সমিতি বাণিজ্যমেলা বন্ধের বিষয়ে দাবি জানালে তিনি তা নাকোচ করে দেন।

তিন দিনের সরকারি সফরে রংপুরে এসেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাসহ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.