পাইকগাছায় শাশুড়ির কামড়ে জামাইয়ের কান বিচ্ছিন্ন, উভয়ই হাসপাতালে

0 210

অনলাইন ডেস্কঃ

খুলনার পাইকগাছায় মেয়ের জামাইয়ের কাছে টাকা ধার চাওয়াকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি ও জামাইয়ের মধ্যে মারামারিতে জামাই আ: কুদ্দুসের (৩৫) কান বিচ্ছিন্ন ও শাশুড়ি হাফিজা বেগমের (৫০) হাতের শিরা কেটে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ দু’জনকেই উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেখানকার ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গদাইপুরের চেঁচুয়া গ্রামে।

জামাই উপজেলার চেঁচুয়ার আছিরউদ্দীনের ছেলে ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী আঃ কুদ্দুস (৩৫) জানান, পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রার বাসিন্দা তার শাশুড়ি হাফিজা (৫০) টাকা ধার চেয়ে তার বাড়িতে এসে পীড়াপীড়ি করছিলেন। এর আগেও তার মেজ শ্যালকের আদালত থেকে জামিনের জন্য ৩ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। বর্তমানে তার আরো এক শ্যালক ভারতে আটক থাকায় শাশুড়ি পুনরায় টাকা ধার চাইতে তার বাড়িতে আসেন। এর পর তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঝগড়া হয়।

পরে রোববার দুপুরে তার শ্বশুর আবু মুছা মোড়ল তাদের বাড়িতে আসে। এর পর বিকেলে পাইকগাছা থেকে তিনি বাড়িতে প্রবেশের মুহূর্তেই টাকা ধার দেয়া নিয়ে পুনরায় বিরোধ দেখা দেয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় দু’জনের বাগ্বিতণ্ডার জেরে জামাইয়ের বাম কানে কামড় বসিয়ে নিচের অংশ ছিড়ে ফেলেন শাশুড়ি। এসময় জামাইও আত্মরক্ষার্থে শাশুড়িকে ধাক্কা দিলে তিনি পাশের ঘেরার উপর পড়ে হাতের তালুর উপরের টেন্ডুল (শিরা) কেটে জখম হন।

থানার এসআই কায়েস জানান, মারপিটে আহত জামাই-শাশুড়িকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, একজনের কান ছিড়ে গেছে এবং অপরজনের হাতের শিরা কেটে গুরুতর জখম হয়েছে। দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.