দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস, আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা
অনলাইন ডেস্ক:
দেশে ছড়াতে শুরু করেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। দীর্ঘ মেয়াদী সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুসহ বয়স্করাও। তাই এসময়টাতে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তবে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় আইইডিসিআর।
১২ মাসের শিশু ফাহিম, জ্বর-কাশিতে ভুগছে মাস খানেক ধরে। কোনোভাবেই সারছিল না তা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
ফাহিমের মা বলেন, তার এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। ওর একটা ভাইরাস ধরা পড়েছে।
ফাহিমের মতো এমন অনেক শিশুই জ্বর-কাশি নিয়ে এসেছে শিশু হাসপাতালে। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
একজন অভিভাবক বলেন, তার বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগেছে প্রায় একমাস যাবত।
হঠাৎ এমন পরিস্থিতির জন্য অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমণের শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শিরীন আফরোজ বলেন, সব সিম্পটম ও ইনভেস্টিগেশন দেশে মনে হয় যেটা সেটা হলো পার্শ্ববর্তী দেশে যে অ্যাডিনো ভাইরাসের যে প্রকোপ শুরু হয়েছে আমাদের বিশ্বাস যে এই অ্যাডিনো ভাইরাসটাই হয়ত আমাদের দেশে ট্রান্সমিটেড হয়েছে।
স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের নমুনা পরীক্ষায় মিলেছে অ্যাডিনো ভাইরাস।
স্কয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস এন্ড পেডিয়াট্রিক আইসিইউ কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ সাঈদ বলেন, আমাদের কাছে এটা ডায়াগনোস্ট করার কিটস আছে। পিসিআর সিস্টেমটা আছে। আমরা যতগুলো বাচ্চাকে পরীক্ষা করছি, যে সমস্ত বাচ্চার নিউমোনিয়া ইম্প্রুভ করছে না, বারে বারে বাবা-মারা আউটডোর আসছে, তারা চিন্তিত, তাদেরকে আমরা আরেকটু পরীক্ষা করে দেখতে পাচ্ছি সেখানে সবগুলো বাচ্চারই অ্যাডিনো ভাইরাস পজিটিভ।
তবে, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, তারা এখনও কোনো নমুনা পরীক্ষা করেনি।
আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরিন বলেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের এমন কোনো ইনফরমেশন এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো টেস্ট করি নাই। আমাদেরকে যখন নোটিফাই করবে তখন আমরা দেখব। আমাদের দল সবসময় রেডি। তখন সেখানে যাবে এবং স্যাম্পল আনবে কাজ করবে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই ভাইরাসে এরইমধ্যে মারা গেছে, প্রায় অর্ধশত শিশু।