২০৫০ সালে সাগর-নদীতে মাছের চেয়ে প্লাস্টিক থাকবে বেশি

0 135

অনলাইন ডেস্ক:

দেশের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদীর মধ্যে হাতে গোণা কয়েকটি ছাড়া বাকি সব এসেছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে। তবে দূষণ, অব্যবস্থাপনা, লোভ আর অবহেলার যাঁতাকলে হারিয়ে গেছে দুই-তৃতীয়াংশ নদী। যা টিকে আছে তাও ধুঁকে ধুঁকে।

এখন ভয় বাড়াচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ। জার্মানির বার্লিন ভিত্তিক গবেষকদের নেটওয়ার্ক রিসার্চগেটে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা বলছে, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী হয়ে প্রতিবছর প্রায় ১-৩ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক মিশছে বঙ্গোপসাগরে।

বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে প্লাস্টিক নিয়ে কোনরকম সচেতনতা নেই, কর্মসূচিও নেই। কখনও কখনও দু-একদিনের কর্মসূচি বা অভিযান হয় কিন্তু তারপরে আবার যেমন আছে তেমনই চলতে থাকে। এই সমস্ত মাইক্রো প্লাস্টিক মাছ খেয়ে মানব দেহে চলে আসতেছে। সেই সঙ্গে ভয়াবহ রোগের কারণ হচ্ছে।

বৈশ্বিক সূচকে প্লাস্টিক বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় শীর্ষ দশে বাংলাদেশ। যা চাক্ষুষ বুড়িগঙ্গার দুর্দশায়। বর্ষা মৌসুম বাদে এখানে জলজ প্রাণের বাঁচার উপায় নেই।

ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, বুড়িগঙ্গায় অক্সিজেনের পরিমাণ ১ মি.লি. গ্রাম পার লিটারের থেকেও কম। যেখানে মাছ এবং মানুষের জন্যে ৫ মি.লি. গ্রাম পার লিটারের প্রয়োজন। এ কারণে বুড়িগঙ্গায় এখন সাকার মাছ দেখা যাচ্ছে, যা একুরিয়ামে থাকে, ময়লা খায়।

এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ এর তথ্য মতে, ঢাকার খালের সংখ্যা ৬৫ থেকে নেমেছে তেতাল্লিশে, তাও প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্যের ভাগাড় হয়ে। তাই এলেন ম্যাকারথার ফাউন্ডেশন বলছে, সচেতন না হলে, ২০৫০ সালে বিশ্বব্যাপী সাগর-নদীতে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের সংখ্যা বেশি থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.