জোর করে স্ত্রীকে মুখমেহনে বাধ্য করা কি ধর্ষণ?
বৈবাহিক সম্পর্ক কি যথেচ্ছ যৌন মিলনের ছাড়পত্র? মুখমেহন কি ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে? এই দুই বিতর্কিত বিষয়ে এবার মত দিতে চলেছে গুজরাট হাই কোর্ট।
সম্প্রতি, স্বামীর বিরুদ্ধে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন গুজরাটের সাবারকান্থা জেলার এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, অনিচ্ছা সত্বেও বারবার তাঁকে মুখমেহনে বাধ্য করেছেন স্বামী। প্রতিবাদ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি তাঁর স্বামী। দিনের পর দিন তাঁকে ওই ‘বিকৃত’ যৌনাচার সহ্য করতে হয়েছে। স্ত্রীর এহেন অভিযোগের পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত স্বামী। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তাঁর যুক্তি, যেহেতু তাঁরা বিবাহিত, তাই স্ত্রীক দিয়ে মুখমেহন ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করুক মহামান্য আদালত।
উল্লেখ্য, ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ নিয়ে ভারতে কোনও সুনির্দিষ্ট আইন নেই। তাই অভিযুক্তদের আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আগেই একটি মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ ফৌজদারি অপরাধ নয় বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই দানা বাঁধে বিতর্ক। তাই বিষয়টির স্পর্শকাতরতা মাথায় রেখে সোমবার এই বিষয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চান বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, “দেশে বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ফলে বিবাহের মতো পবিত্র সম্পর্কের উপর ক্রমশই আস্থা হারাচ্ছেন মহিলারা। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করায় ভুক্তভোগী হয়েছেন বহু মহিলা।”
‘বিকৃত’ যৌনাচারের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে কি মামলা করতে পারেন স্ত্রীরা? এক্ষেত্রে কি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারার আওতায় ফৌজদারি মামলা করা যাবে? এদিন রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রশ্নগুলির জবাব চায় আদালত। দ্রুত রাজ্যকে এবিষয়ে মতামত জানাতে বলে শীঘ্রই এই বষয়ে রায় দেওয়া হবে বলে জানায় আদালত।