উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ সাগরে বিধ্বস্ত
অনলাইন ডেস্ক:
কক্ষপথে সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। আজ বুধবার (৩১ মে) কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি সাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ এর বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে বলেও জানায় গণমাধ্যমটি। খবর আলজাজিরার।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে ১২ দিনের মধ্যে কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার প্রথম দিনেই এই উৎক্ষেপণ তৎপরতা চালানো হয়।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ তাদের রাডার থেকে উৎক্ষেপণ করা বস্তুটি হারিয়ে গেছে এমন তথ্য দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কেসিএনএ এক ঘোষণায় জানায়, ‘চেওলিমা-১’ কোরীয় সাগরের পশ্চিম তীরে বিধ্বস্ত হয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ বহনকারী রকেটটি স্বাভাবিকভাবে উড়তে থাকার পর দুই ধাপের ইঞ্জিনটি আলাদা হওয়ার সময় অস্বাভাবিক স্টার্টআপের কারণে গতি হারিয়ে ফেলে এবং সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ জানিয়েছে, সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে তারা উৎক্ষেপণের বিষয়টি ধরতে পারে যার কারণে দেশটির রাজধানী সিউল ও জাপানে সতর্কতা জারি করা হয়, অবশ্য পরে তা তুলেও নেওয়া হয়।
কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ উত্তর কোরিয়ার এটি ছিল ষষ্ঠ প্রচেষ্টা এবং ২০১৬ সালের পর প্রথম তৎপরতা। ধারণা করা হচ্ছে, কক্ষপথে সামরিক নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে উত্তর কোরিয়া এই উদ্যোগ নিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ জানায়, রকেটটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয় এবং এর পরপরই ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা ছবিতে দেখা যায়, সাগরে একটি বেশ বড় সিলিন্ডার আকৃতির বস্তুকে বয়ার সাথে রশি দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মিডলবোরি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জর্জ উইলিয়াম হার্বাট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ছবিতে দেখানো বস্তুটি একটি রকেটের দুই অংশকে সংযোগকারী কাঠামোর মধ্যবর্তী অংশ। ওই রকেটটি সম্ভবত তরল জ্বালানি দিয়ে চলতো।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে পিয়ংইয়ং সম্ভবত তাদের ঘোষিত আলটিমেটাম অনুযায়ী ১১ জুনের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ তৎপরতা চালাবে। তবে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহের কাজ শুরু করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।