‘দুর্নীতিবাজদের ধরবো আর জেলে ভরে দিবো’
অনলাইন ডেস্ক:
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত খানের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ আদেশ দেন।
এদিন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের আইনজীবী।
এসময় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ। টাকা কি বাতাসে খেয়েছে? যারা দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের নাম না দিলে এই রিপোর্টের কোনো দাম আছে? কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যেই হোক, যে পর্যায়েই হোক, মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান থাকবে। সব জেলে ঠুকে দিবো। ধরবো আর জেলে ভরে দিবো।
সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে না পৌঁছে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
পোটন ট্রেডার্সের সার আত্মসাৎ তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার বিসিআইসি দুটি তদন্তে। এতে বলা হয়-সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে । সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি।