নুরের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ জানালেন ড. রেজা কিবরিয়া
অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি ড. রেজা কিবরিয়া এবং গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে তারা একজন আরেকজনকে মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে চলছে সমালোচনা।
গুঞ্জন উঠে-গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে ড. রেজার। এ বিষয়ে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ড. রেজা। তিনি বলেন, দলের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর দলীয় ফান্ডের কোনো হিসাবনিকাশ দেন না। নুর দলের পদ-পদবি বিক্রিসহ প্রবাসে কমিটি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আমি মনে করি নুর সরকারের পক্ষে কাজ করছেন।
ড. রেজা বলেন, প্রথমত দলের মধ্যে টাকা-পয়সার হিসাব চাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। তিনি প্রবাসে কমিটি গঠনের ব্যাপারে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়ে কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। অথচ দলের প্রধান হিসেবে ওই পদ দেয়ার কথা আমাকে।
এই দলের ফান্ডের কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। কাউকে ফান্ডের হিসাব দিতে চান না নুর। আমি দলের প্রধান হলেও আমাকে হিসাব দেন না। বরং আমি হিসাব চাওয়াতে আজেবাজে কথা বলছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন নুর, এটি কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই করেছেন তিনি।
ড. রেজা আরও বলেন, নুর কেন ওই বৈঠক করেছেন এবং ছবি তুললেন? ইসরায়েলের সঙ্গে কী সম্পর্ক আমাদের। দলকে কি তারা ক্ষমতায় নিয়ে যাবে? নাকি তিনি টাকা পেয়েছেন? অবশ্য তাকে যারা গাড়িতে করে নিয়ে গেছেন তারা জানিয়েছেন, বৈঠকের পর একটি কালো ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে উঠেছেন তিনি। টাকা-পয়সা নিয়ে কী করেছেন তিনি? কেন নিজের স্বাক্ষরে করেছেন, জানি না।
নুরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার সময় ভারত প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ সময় এ ব্যাপারে ড. রেজা বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকের সঙ্গে গোপনে বৈঠকও করেন নূর। কিন্তু দলের আহ্বায়ক হিসেবে সে খবর একদমই জানি না আমি। এসব কারণে তার সঙ্গে আমার মতামতের পার্থক্য হয়েছে।