অভিবাসন নীতি নিয়ে বিরোধে ভেঙে গেল নেদারল্যান্ডস সরকার
অনলাইন ডেস্ক:
অভিবাসন নীতি নিয়ে জোটভূক্ত দলগুলোর মধ্যে বিরোধের জেরে নেদারল্যান্ডসের সরকার ভেঙে গেছে। ফলে দেশটিতে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। খবর বিবিসি
নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের রক্ষণশীল ভিভিডি পার্টি। কিন্তু এতে চার দলীয় জোটের দুই দল তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে এ ঘটনা ঘটে।
মার্ক রুট শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, অভিবাসন নীতি নিয়ে জোটের সদস্যদের মধ্যে বিরোধ থাকায় এ সমস্যা নিরসনযোগ্য নয়। এজন্য আমি রাজার কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ জমা দিতে চাইছি।
৫৬ বছর বয়সি রুট নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। জেষ্ঠ্যতার দিক বিবেচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরির ভিক্টর ওর্বানের পরই তার অবস্থান। আগামী নির্বাচনেও ভিভিডি পার্টির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তার।
রুটের জোট সরকার ভেঙে গেলেও নতুন নির্বাচনের পর নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে রয়ে যাবে। নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক ইতিহাস অনুযায়ী, নতুন একটি সরকার গঠন করতে কয়েক মাস লেগে যায়।
রুটের নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তিনি, বর্তমান সরকার নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান রুট।
নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়ের আবেদন এক তৃতীয়াংশ বড়ে ৪৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। যদিও সরকারি তথ্যানুয়ায়ী চলতি বছর এ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
চলতি সপ্তাহে রুট জোর করে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন। যার মধ্যে ছিল প্রতি মাসে অন্তত ২০০ জন শরণার্থীকে নেদারল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়া হবে।
কিন্তু ছোট দল ক্রিস্টিয়ান ইউনিয়ন ও লিবারেল ডি৬৬ প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিরোধীতা করে। আর এখান থেকেই সংকার ভাঙার সূত্রপাত।