আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ : সংঘাতের শঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক:
রাজপথ দখলে রাখতে ‘চূড়ান্ত লড়াই’-এর দিকে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিরোধীদের মহাসমাবেশের দিন আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে পাল্টা সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে জনমনে।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার সমঝোতার তাগিদ দেওয়া হলেও সে পথে হাঁটছে না কেউ। ইতোমধ্যে শোডাউনের জবাবে পাল্টা শোডাউনে দু’জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর ও নড়াইলে।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ গরম হওয়াই স্বাভাবিক। তবে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
যদিও পূর্বঘোষিত যুবলীগের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৪ জুলাই (রোববার)। শনিবার (২৩ জুলাই) রাতে অবশ্য সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে ‘শান্তি সমাবেশ’ নাম দিয়ে যুবলীগের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকেও মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাজধানীতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। এরপর গতকাল রোববার দুপুরে যুবলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভাগীয় কর্মসূচি ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার ধার্য করা হয়।
একই দিনে এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠের দখল ধরে রাখার কৌশলে নেমেছে দু’পক্ষ। এমন পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর হিসেবে আখ্যায়িত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, পাল্টাপাল্টি সমাবেশ বা একই দিনে একাধিক কর্মসূচি পালন কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু এগুলো সহিংসতায় রূপ না নিলেই হলো। তাঁর মতে, নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক মাস। এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে মাঠ গরম করবে– এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টানা কর্মসূচির কারণে জনদুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি রাজনীতিবিদদের আমলে নেওয়া উচিত।
ড. শান্তনু মজুমদার আরও বলেন, এ দেশের রাজনীতিবিদদের বাস্তব বুদ্ধির ওপর তাঁর ভরসা রয়েছে। কারণ এক পক্ষের দাবিতে আরেক পক্ষের কোনো ছাড় নয়– এমন পরিস্থিতির কারণে উভয় পক্ষকে চরম মাশুল দিতে হতে পারে। আর সেই মাশুল দেওয়ার সামর্থ্য দু’পক্ষের কারোরই নেই বলে মনে করেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে এর চেয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তার পুনরাবৃত্তি কারও জন্যই সুখকর হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা আগামী জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে হিসাবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। বিএনপির দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তপশিল ঘোষণার আগেই চলমান আন্দোলনকে তারা যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। সে লক্ষ্যেই এ মহাসমাবেশে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মী ঢাকায় এনে জড়ো করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অতীতে বিএনপির বড় কর্মসূচি ঠেকাতে সরকারি দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির উদাহরণ রয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখে পুলিশি তল্লাশি, আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধসহ ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার নজির রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার কী ধরনের আচরণ করা হবে– তা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে অযাচিত বাধা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর থেকে মাঠ প্রশাসনের আচরণে অনেকটাই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। চলতি জুলাই মাসেই বিএনপি রাজধানীতে একাধিক বড় কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি। তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকায় নেতাকর্মী জড়ো করার প্রস্তুতি বিএনপির
সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে ঘোষিত ‘মহাসমাবেশ’ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই আন্দোলন তুঙ্গে নিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে তারা। এ জন্য সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী ঢাকায় এনে জড়ো করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ সোমবার দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে যৌথ সভায় বসতে যাচ্ছে দলটি। এই বৈঠকে নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে।
বিএনপি নেতাদের দাবি, এই মহাসমাবেশ এবারের ধারাবাহিক আন্দোলনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখান থেকেই স্বল্প সময়ের মধ্যে আরও বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাবে দলটি। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সরকার বাধা দিতে পারে। এমনকি অতীতের মতো ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেও দিতে পারে। এসব আশঙ্কা থেকে মফস্বলের অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। মহাসমাবেশের আগে আরও অনেক জেলা থেকে আগেভাগেই ঢাকায় এসে অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লেন, মহাসমাবেশে রাজধানী ঢাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। সরকারি দল ও প্রশাসনের দিক থেকে বাধার আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জনভিত্তি না থাকায় এখন তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এসব করে লাভ হবে না। এখন আর বাধা দিয়ে, হামলা করে, গায়েবি মামলা দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সাময়িক কষ্ট দিতে পারবে, তবে এর ফল ভালো হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক জানান, মহাসমাবেশে লোকসমাগম নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নন। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী এখন দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করছে। আর সাধারণ মানুষ এই সরকারের ওপর চরম মাত্রায় ক্ষুব্ধ হওয়ায় তারাও বাধা-বিঘ্ন এড়িয়ে সমাবেশে চলে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ধারাবাহিক এসব কর্মসূচিতে লোকসমাগম নিশ্চিত করতে গত এক মাসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পৃথকভাবে বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সব পর্যায়ের নেতার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন, যেখানে জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসব বৈঠকে প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকার কর্মসূচিতে লোকসমাগম ঘটানোর কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা জেলার প্রভাবশালী নেতা হাফিজ ইবরাহিম জানান, বাধা আসতে পারে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে– মনে করেই তারা তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন।
রাজপথ দখলে নিতে দেবে না আওয়ামী লীগ
বিএনপির মহাসমাবেশের দিনেই ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন– যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। ওই দিন দুপুর ২টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশটি সঞ্চালনা করবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলন কর্মসূচির দিনটিতে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করার দলীয় সিদ্ধান্ত আগে থেকেই রয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারক নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসমাবেশের দিনটিতেও উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা ছিল দলের মধ্যে। তবে এর তিন দিন আগে যুবলীগের ব্যানারে পূর্বঘোষিত বড় ধরনের সমাবেশের কর্মসূচি থাকায় পরে দলের সহযোগী সংগঠনটির সমাবেশকেই পিছিয়ে বৃহস্পতিবার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্রমতে, যুবলীগের সমাবেশে ঢাকার সব প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে যোগ দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে ওইদিন রাজপথে সরকার সমর্থকদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট নেতাদের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশের মাধ্যমে ঢাকায় বিশাল শোডাউনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাড়াও গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর এবং টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগ দেবেন। এরই মধ্যে সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশে মহানগর ও জেলা কমিটিগুলো বর্ধিত সভা ও কর্মিসভা করেছে। শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের জরুরি বর্ধিত সভায়ও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে যুবলীগ নেতারা তাদের সমাবেশকে বিএনপির মহাসমাবেশের পাল্টা কর্মসূচি বলে মনে করছেন না। কয়েকজন নেতা জানান, যুবলীগ আগে থেকেই দেশের সব বিভাগে ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করে আসছে। ৯ জুলাই সিলেট বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে গত ২০ জুলাই খুলনা এবং গতকাল রোববার ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগে সোমবার ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হলেও আরও প্রস্তুতি নিতে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে বলে দাবি যুবলীগ নেতাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও তার জোট আন্দোলন-কর্মসূচির নামে রাজপথে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। এটা করতে গেলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে।
পুলিশের পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত নয়
পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ করতে চাইলে বিএনপি নেতাকর্মীর কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হবে না। তবে কর্মসূচি ঘিরে হামলা, সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়তি নজরদারি থাকবে। তবে চলতি সপ্তাহের শেষ দিনে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে চূড়ান্ত নিরাপত্তা ছক করা হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বৈঠক করে নিরাপত্তা আয়োজনে কার কী ভূমিকা, তা ঠিক করবে।
পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন বলেন, যে কোনো কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের এক ধরনের নিরাপত্তা প্রস্তুতি থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় হবে না। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে ছক তৈরি করা হবে । এখনও সময় আছে। এরই মধ্যে সব ঠিকঠাক করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ডিসি (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। কর্মসূচি ঘিরে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। তবে কেউ যদি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।