‘ফালতু কথা কোর্টে বলবেন না’
অনলাইন ডেস্ক:
তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির দিন ধার্য হওয়ার কথা ছিলো আজ। বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি কার্যতালিকার ১ নাম্বারে ছিলো।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) নির্ধারিত সময়ে রিটকারির আইনজীবী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম আদালতে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন করেন।
এসময় হাইকোর্ট বলেন, এটি তো শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেনি এখনো। কিভাবে শুনানি করবেন। রেডি সিল না মারা পর্যন্ত কোনোভাবেই এটির শুনানি করতে পারবেনা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট রুলসেরও কিছু বিষয়ও এখানে জড়িত। এসময় আদালতে বিএনপির অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। কথার পিঠে কথা চলতে থাকে পেছন থেকে। পরে আদালত তাদের থামান। সব শুনে আদালত রিটটি আপাতত না শুনার কথা সাফ জানিয়ে দেন।
এসময় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টকে বলেন, মাই লর্ড সরকারের এক আদেশেই তো সব বন্ধ করা যায়। এখানে কোর্টকে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? পরে আদালত বলেন ফালতু কথা বলবেন না, এটা এখানে প্রাসঙ্গিক না।
আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি সব ধরণের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য গতকাল হাইকোর্টে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী।
এর আগে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটে কোনো পত্রিকা, ইলেট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুন:উৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চেয়েছিলেন।
রিটে বলা হয়, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়।
পরদিন রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।
রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে সেইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (প্রয়াত), অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম (বর্তমানে মন্ত্রী), অ্যাডভোকেট এস এম মুনীর(বর্তমানে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল), অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম (তৎকালীন এমপি)।