গত সপ্তাহে আমার হাজব্যান্ডের বিভিন্ন টেস্ট করালাম। সব টেস্ট নিয়ে চট্টগ্রাম এর বড় ডাক্তারদের সাথে দেখা করলাম। একজন ডাক্তারের সিরিয়াল নিলাম রাত ৯ টায় দেখবেন।
রাত ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়ে মেহেদিবাগ ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে দেখে বারবার ডাক্তারের এসিসটেন্ট কে জিজ্ঞেস করছিলাম। এদিকে দেখি অনেক রুগি সিরিয়াল বিহীন ভিতরে ডুকছিল। কেউ ডাক্তারের আত্বীয় কেউবা বিভিন্ন ডাক্তারের কার্ড নিয়ে ভিতরে পাঠাচ্ছিল।
এসিসটেন্ট কে বললাম ঘটনা তো খারাপ রাত ১২ টা বেজে যাচ্ছে আমি কিভাবে বাসায় যাব। সে বললো স্যার না বললে আমি ভিতরে যেতে দিতে পারবনা। অগত্যা জোড় করে ভিতরে গেলাম। ডাক্তার সাহেব বসিয়ে রাখলেন প্রায় ২০ মিনিট। ওনি বিভিন্ন রুগির রিপোট দেখছিলেন (উল্লেক্ষ্য রিপোট দেখে ৫০০ টাকা নিচ্ছিলেন) এরপর আমাদের দেখার পালা।
সব ফাইল দিলাম উনি কিছুটা বিরক্ত হলেন এত কাগজপত্র দেখার টাইম নাই বলে। আমিও ছাড়লাম না। একেএকে সব দেখালাম। দেখলেন আসার সময় এটেনডেন্সকে ইশারা দিলেন। ভিজিট ১ হাজার নিতে। আমি আগে জেনে নিয়েছি ভিজিট ৬০০ টাকা। একহাজার টাকার নোট নিয়ে বললাম স্যার ভিজিট বেশি কেন দিব? ডাক্তার সাহেব বললেন আপনাদের সময় বেশি দিয়েছি তাই ভিজিটও বেশি এরপর রাত বেশি হওয়ায় গাড়ি ভাড়াও বেশি দিয়ে বাসায় আসলাম।
তারপর দিন প্রেসক্রিপশন নিয়ে গেলাম ডিস্পেন্সারি। কয়েকটা ডিসপেন্সারীতে ঘুড়তে হল কেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়তে পারছিলনা।
অগত্যা আরেকজন ডাক্তারের বাসায় গেলাম ভাগ্য ভাল ছিল ডাক্তার সাহেবকে বাসায় পেলাম। ওনি প্রেসক্রিপশন পড়ে দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম কেন এই সমস্যা? ওনি বললেন মেডিসিনের গ্রুপ লিখেছে নাম লিখেনি তাই দোকান মালিক বুঝতে পারেননি।
এখন কথা হল যে দেশে অনেক কম শিক্ষিত লোক ডিসপেন্সারি করে থাকেন অনেকেই সেখানে আস্পষ্ট ভাবে কেনো লিখলেন? আমি ১ হাজার টাকা ভিজিট দিয়ে আবার অন্য ডাক্তারের কাছে কেনো যেতে হলো। ওনার প্রেসক্রিপশন সেই ডাক্তারও পড়তে কষ্ট হচ্ছিল। এতো যখন সময় কম আর হাতের লেখার প্রেক্টিস কম ডাক্তার সাহেব একজন ছোট ডাক্তার এটেনডেন্স ও কম্পিউটার রাখা দরকার যা ঢাকায় বড় বড় ডাক্তারেরা রেখে থাকেন। আর যাদের সময় যাদের কম দিয়েছেন তাদের থেকে কি টাকা কম রাখেন? এ কোন দেশে বসবাস করছি আমরা?
বিপুল ইসলাম