কুরআন হাতে জাতিসংঘের অধিবেশনে ইরানের প্রেসিডেন্ট
অনলাইন ডেস্ক:
সম্প্রতি সুইডেনে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এ বিষয়ে নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ নিয়ে তিনি বলেন, কুরআনের শিক্ষা কখনও জ্বলবে না।
সুইডেনে কুরআন পোড়ানো এবং হিজাব পরিহিত মেয়েদের ফ্রান্সে স্কুলে যেতে বাধা দেওয়ার মতো ইসলামবিদ্বেষী কাজের নিন্দা করে তিনি বলেন, কুরআন মানুষকে “আধ্যাত্মিকতা, সত্য এবং নৈতিকতার” আমন্ত্রণ জানায়।
মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা ঠেকাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাইসি বলেন, “বিশ্ব অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষের মূল্যবোধকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে এমন আল্লাহর বাণীর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জাতিসংঘের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ইরান। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তেহরান।
তিনি আরও বলেন, যারাই বন্ধুত্বের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিবেশীর মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে সুযোগ তৈরি হবে বলেও বিশ্বাস করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
রাইসি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন করে না ইরান। এই সংঘাত বন্ধে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত তার দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন সোমবার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের দেড় শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিচ্ছেন এবারের অধিবেশনে। এ বছর সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও জলবায়ু ইস্যুর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
মাত্র ৫১টি দেশ নিয়ে তৈরি হওয়া সংস্থাটির বর্তমান সদস্য দেশ ১৯৩। জাতিসংঘের প্রধান শাখা ছয়টি। যার মধ্যে তিনটি শাখাকে মনে করা হয় সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। এগুলো হলো- সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সংস্থাটির একমাত্র শাখা, যেখানে ১৯৩টি সদস্য দেশের সবাই প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। প্রতিটি সদস্য দেশই এই সভায় বক্তব্য দিতে পারে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি