কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সকালে আবারো সংঘর্ষ

0 198

clash starts again in the morning for quota reform movement
গতকাল রাত থেকে চলতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও দোয়েল চত্ত্বরে জমায়েত হয়েছে আন্দোলনকারীরা। ভোর সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও কার্জন হল এলাকায় আবারও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আবারও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুইজন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আমি কমিশনার হয়ে আপনাদের কথা দিচ্ছি, আর একটি টিয়ারশেলও মারবে না পুলিশ। আপনারাও ইট পাটকেল মারবেন না। পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবে।
ছাত্রদের পক্ষ থেকে অন্যায়ভাবে কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি চালানোর বিচার চাইলে কমিশনার বলেন, ভুল পুলিশেরও, আপনাদেরও, উভয়পক্ষেরই ছিল। আলোচনা হবে, দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার করা হবে। এরপর দোয়েল চত্বর থেকে ডিএমপি কমিশনার শাহবাগের দিকে চলে যান।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলতে থাকে পুলিশ চলে গেলে আমরাও চলে যাব। পুলিশ কমিশনার দোয়েল চত্বর এলাকা ত্যাগ করার পরই পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে, লাঠি পেটা শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর রাত থেকে যে শিক্ষার্থী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছিল, সমঝোতার চেষ্টা করছিল- পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে। অন্য শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

এদিকে থমথমে হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ। শাহবাগ মোড় থেকে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), নীলক্ষেত থেকে দোয়েল চত্বর, কার্জন হল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের চিত্র আজ একেবারেই আলাদা। ইট-পাটকেল, লাঠি-সোঁটা, গুলির খোসা পড়ে আছে পথে পথে। রাতভর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের।
ভোর ৬টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ প্রায় তিনশ নেতাকর্মী। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে শহীদুল্লাহ হলের সামনে পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.