বিরোধী সংগঠন নয়, আমরা নিজেরাই নিজেদের শত্রু – শেখ ফজলে সামস পরশ

0 166


যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ বলেছেন, ‘আমাদের শত্রু এখন বিরোধী সংগঠন নয়, নিজেরা নিজেদের শত্রু।’

তিনি নিজেদের ভাইকে শত্রু না বানানোর, শত্রু না ভাবার অনুরোধ করেন যুবলীগের কর্মীদের।

নানা ঘটনায় বিতর্কিত যুবলীগের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। যুবলীগের ঐতিহ্য রয়েছে। নানা কারণে যুবলীগের ইমেজ ক্রাইসিস তৈরি হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা কাজ করছি যুবলীগকে একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে তৈরি করতে।’

আজ সোমবার (২ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলানিউজ

শেখ ফজলে সামস পরশ বক্তব্য প্রদানের সময়ও সাংবাদিকদের সঙ্গে উশৃঙ্খল আচরণ করেন যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী। পরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা আয়োজন করা হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুবলীগের পেছনে অনেকের ত্যাগ রয়েছে। অনেকের কষ্টে গড়ে তোলা এ সংগঠনের কথা আমরা ভুলে যাই। আমাদের শত্রু এখন বিরোধী সংগঠন নয়, নিজেরা নিজেদের শত্রু। যুবলীগের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ-আপনারা আপনাদের ভাইকে শত্রু বানাবেন না, ভাইদের শত্রু ভাববেন না। আপনারা যুবলীগের মান রক্ষা করবেন। আপনাদের কারণে যেন শেখ ফজলুল হক মণির হাতে গড়া যুবলীগের মাথা হেট না হয়।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে যুবলীগ নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য যুবলীগের পক্ষ থেকে কমিটি করে দেয়া হবে বলেও জানান পরশ।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির নেতারা।

যুবলীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় যুবলীগের পক্ষ থেকে অতিথিদের ফুলের নৌকা উপহার দেয়া হয়।

বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় ১৫টি সাংগঠনিক জেলা ও তার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.