যেভাবে পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে
পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে প্রতিবছর ভারতের নাটক যেনো কোনভাবেই থামছেনা। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হবার পরেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি নিয়ম অনুস্মরণ করে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।
বাংলাদেশের কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের মতো। ২০২০ সালে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার টন। তবে এই উৎপাদন থেকে গড়ে ২৫-৩০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজের মোট চাহিদার প্রায় ৫৭ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয়। বাকিটা প্রধানত ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশের চাহিদার পুরোটা পূরণ করতে হলে দেশে অন্তত ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজের উৎপাদন করতে হবে।
গবেষকরা বলছেন, পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হলে বীজের উৎপাদন এবং সংরক্ষণও বাড়াতে হবে, সমন্বিত চাষাবাদ করা, দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করা, সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করা, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন, চরের জমি অন্তর্ভুক্ত করলেই ৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।
বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, দাম স্থিতিশীল রাখা অর্থাৎ উৎপাদন মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে রাখা যায়, সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করা যায় আর শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন বীজের পর্যাপ্ত যোগান দেয়া যায়, তাহলে আগামী পাঁচ ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে।