৯ প্রকল্পের অনুমোদন একনেকে বাজেট ২০ হাজার কোটি
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে সভায় অংশ নেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা প্রায় ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা খরচে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৬ হাজার ৫৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেবে ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।
একনেক সভা শেষে দুপুরে এনইসিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।এদিন অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে সংশোধিত প্রকল্প তিনটি এবং নতুন প্রকল্প ছয়টি।
সংশোধিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন’ প্রকল্পেরও প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম জেলাধীন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় হালদা নদীর উভয় তীরের ভাঙ্গন থেকে বিভিন্ন এলাকা রক্ষাকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজ’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অনুমোদন দেয়া হয়েছে নতুন অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘বিটিসিএলের ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের। এতে খরচ হবে ৯৪৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ১৬ হাজার ৯১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘পশ্চিম গোপালগঞ্জ সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চকিঘাট এবং অন্যান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘অনাবাদী পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।