ভাসানচরেই বেশি নিরাপদ রোহিঙ্গা শরণার্থী
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১৫ লাখ রোহিঙ্গার ভারে প্রায় বিপর্যস্ত পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রতিবেশ ও অর্থনীতি। পাহাড়ি এলাকায় ঘনবসিতে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কঠিন হয়ে উঠছে রোহিঙ্গাদের জীবনও।
শনিবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ’র (সিএফআইএসএস) সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (সিএফআইএসএস) চেয়ারম্যান কমোডর এম এন আবসার। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এই বাস্তবতায় নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। এরইমধ্যে সেখানে বসবাস শুরু করেছে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। কিন্তু এখনো ভাসানচরের ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক মহল।
ভাসানচরের প্রকৃত সুবিধা ও প্রতিকূলতার চিত্র তুলে ধরতে গবেষণা চালায় সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ। থাকার ঘর, খাদ্য, পানি ও নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট রোহিঙ্গারা। তবে পর্যাপ্ত নয় স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থান।
শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাস্তুচ্যূত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্বে এমন ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প আছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয় না। বিপুল জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে জটিল করে তুলছে।
বিশ্বের যে কোনো দেশের শরণার্থী শিবিরের চেয়ে ভাসানচরের রোহিঙ্গা আশ্রয়ণকেন্দ্র বেশি নিরাপদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা।