সিরি আর বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতে নিয়েছেন পর্তুগিজ ও জুভেন্টাস সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শনিবার (২০ মার্চ) তার হাতে ২০১৯-২০ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
করোনার কারণে এবার দেরিতে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়। ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেয়া রোনালদো এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।
আবারো সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে ভালো লাগার কথা জানান রোনালদো। ধন্যবাদ জানান ক্লাব, সতীর্থ ও ভক্ত-সমর্থকদের। ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেন, ‘ইতালিতে আসার পর থেকে টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জিতে এর চেয়ে বেশি খুশি আর হতে পারতাম না।
বছরটা ছিল অদ্ভূত, এমন একটা বছর যা কেউই চাইত না। কিন্তু ব্যক্তিগত ও দলীয় দিক দিয়ে এটা ছিল ইতিবাচক, কারণ আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলাম।
শুরুর দিকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাটা ছিল কঠিন, তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়নশিপ জয় এবং আমরা তা করতে পেরেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফুটবল এমনই।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে লাফিয়ে ওঠে অসাধারণ দক্ষতায় একটি গোল করেন। এ গোলটির কথাও বলেন রোনালদো। তিনি বলেন, ‘এটা ছিল আমার সেরা গোল, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত আমি আমার সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তারা ছাড়া এই পুরস্কার জেতা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। যেসব খেলোয়াড়রা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
৩৬ পেরিয়েও এখনো মাঠে আগের মতোই ক্ষুরধার রোনালদো। এর রহস্য জানালেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই ফুটবলার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নিজের প্রতি বিশ্বাস, হাল না ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া ও ফুটবলের প্রতি আবেগ এগুলো হলো ফুটবল উপভোগ করে যাওয়ার মূলমন্ত্র। লড়াই চালিয়ে যেতে আমি এখনো অনুপ্রেরণা পাই। অন্যথায় ৩৫, ৩৬, ৩৭ বা ৪০ বছর বয়সে এই পর্যায়ে খেলা সম্ভব নয়।’