ফেসবুক উন্মোচন করেছে সম্প্রতি ভার্চুয়াল-রিয়েলিটি (ভিআর) সুবিধা সংবলিত স্মার্টব্যান্ড । এর মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটির আসন্ন অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) সুবিধার চশমা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
স্মার্টব্যান্ডটি একাধিক সেন্সরের সহায়তায় স্নায়ুতন্ত্রের তরঙ্গ অনুধাবন করে এবং ব্যবহারকারীর হাতের ইশারা ও ভঙ্গি বুঝতে পারে।
স্মার্টব্যান্ডটিতে ক্লিক করার জন্য ব্যবহারকারীকে শুধু তর্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুলি একত্রিত করতে হবে। নতুন এ স্মার্টব্যান্ড কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
নতুন স্মার্টব্যান্ডটি বাস্তব জীবনে ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দ কিংবা অন্যান্য আগ্রহের বিষয়ে ব্যবহারকারীর আচরণ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ধারণ করবে।
ফেসবুকের রিয়েলিটি ল্যাবস রিসার্চের সায়েন্স ম্যানেজার তানিয়া ইয়ঙ্কার বলেন, স্মার্টব্যান্ডটি আপনার অবস্থান, সামগ্রিক কর্মকাণ্ডসহ বেশকিছু বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে রাখবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষাবিষয়ক ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ রে ওয়ালশ বলেন, যেহেতু দিন দিন প্রযুক্তি মূলধারায় আরো বেশি বিস্তৃত হচ্ছে, তাই কোম্পানি কী পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করবে, সে ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের অবগত করতে হবে।
এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, কোনো বিষয়ের প্রতি মানুষ কতটা আগ্রহী বা অনাগ্রহী তা জানার জন্য ব্যবহারকারীদের চোখের ইশারা ও স্নায়ুর কার্যক্রমকে ব্যবহার করা সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজমের সমূহ সম্ভাবনার সৃষ্টি করে।
তিনি আরো বলেন, নতুন এ তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির বৈধতা এবং পরবর্তী সময়ে এর ব্যবহার গ্রাহকদের জন্য কতটা নিরাপদ সে ব্যাপারে নীতিনির্ধারক ও আইনপ্রণেতাদের আরো গভীর দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের শেষদিকে ফেসবুকের অগমেন্টেড রিয়েলিটি চশমার প্রথম সংস্করণ বের হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই ফেসবুক তাদের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্লাটফর্মের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভিআর স্টার্টআপ অকুলাস কেনার মধ্য দিয়ে প্রথম এ প্রযুক্তির প্রতি তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করে।
বর্তমানে ফেসবুকের ৫০ হাজার কর্মীর মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভাগে কাজ করছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ভিআর একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হবে।
ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল ও গুগলও এআর ও ভিআর নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।