তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ইন্টারনেটকে বিলাসী সেবা হিসেবে না দেখে একে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো মৌলিক জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করে এর যন্ত্রপাতির ওপর ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন ।
২ এপ্রিল (শুক্রবার) ‘মেড ইন বাংলাদেশ আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি পলিসি’ নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল গোল টেবিল সভায় অংশ নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সভায় সূচনা বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন পলক।
তিনি বলেন, সৃজনশীল অর্থনীতি ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে এবং ডিজিটাল বিপ্লব আরও এগিয়ে নিতে ইন্টারনেটকে বিলাসী সেবা হিসেবে না দেখে একে বিদ্যুৎ ও
জ্বালানির মতো মৌলিক জরুরি সেবা হিসেবে গণ্য করে ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্টের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।
ডিজিটাল পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রয়োজন।
একইসঙ্গে আগামী অর্থবছরে বাজেটে ওরিক্স বায়োটেককে দেশে প্লাজমা ফ্রাকশনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্র ও বিশেষায়িত গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবও করেন তিনি।
অংশীজনদের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবটি বিস্তারিত উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক লিভারেজিং ইন আইসিটির নীতি উপদেষ্টা সামি আহমেদ।
প্রস্তবনায় আইটি ও আইটিইএস খাতে আগাম কর প্রত্যাহার এবং ২০২৪ সালের করমুক্তি সনদ প্রাপ্তি সুবিধা বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এছাড়া এ খাতে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।