আমি চিন্তায় পড়ে যাই। কবিতা কখন লিখি? নিজের দিকে তাকাই সপ্রশ্ন চোখে।
সকালেও কবিতা লিখি না, দুপুরে কিংবা বিকেলেও না, সন্ধ্যায় এবং রাতেও না। আমি কবিতা লিখি না। কবিতার ভেতর আমি বসবাস করি। কবিতা এক আশ্চর্য ধ্যান। আকণ্ঠমগ্ন কবিতায় ডুব দিয়ে থেকে কতটুকুই বা তুলে আনতে পারি শব্দের জল?
জানি না!
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। কাউকে উত্তর দিতে পারি কখন কবিতা লিখি।
কবিতা সম্ভবত লেখা হয় একজন কবির জীবনের সে সময়টুকুতে যখন তিনি সবচেয়ে নিখাদ অনুভূতির মধ্য দিয়ে যান। আপনি একটা কবিতার বই পড়ছেন মানে আপনি একজন কবির জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সময়টির অনুভবগুলো কিনে নিয়েছেন অতি স্বল্পমূল্যে।
যারা কবিতা লেখে, তাদের দিকে অধিকাংশ মানুষ সকৌতুকে তাকায়। মাঝেমধ্যে কপালে ছোট্ট করে টোকা দিয়ে বলে, আজকাল নাকি কবিতা লেখা হচ্ছে? যেন খুব মজার কোনো কথা। কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার সময় বলে, “বুঝেছ ও কিন্তু কবি, কবিতা লেখে।” বলতে বলতে চাপা হাসি যেন মুখের সবদিকে লেপ্টে থাকে।
কবিতা কি বড্ড রসিক বিষয়? কবিতার ভেতর দিয়ে একবার হেঁটে দেখুন, একবার খুব নিস্তব্ধ সময়ে একটা ভালো কবিতার বই নিয়ে বসুন৷ আপনি আবিষ্কার করতে পারবেন কবিতা আসলে কী। কতটা গহীন সাধনার পথ পাড়ি দিয়ে হুট করে একবার কবি হওয়া যায়!
বিচূর্ণ বসন্তে বইটির প্রচ্ছদটা নিজের খুব পছন্দ হয়েছে, ভারাক্রান্তও হয়েছি, সুখও অনুভব করেছি। এই মুখটার মধ্যে কেমন যেন নিজের মুখ দেখতে পাই আমি, বাহ্যিক মুখাবয়ব নয়, আমার আত্মিক অবয়বটিকে দেখতে পাই।
বিচূর্ণ বসন্তের শুরুর ফ্ল্যাপে লিখে রেখেছি,
“নিষ্প্রভ জীবনে তন্দ্রা ভেঙে দেখি
কবিতা আমার
বিচূর্ণ বসন্তে বিলম্বিত কুসুম।”
এবারের বইমেলায় লেখিকার “বিচূর্ণ বসন্তে” নামে নতুন কবিতার বইটি পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চন্দ্রবিন্দুর আউটলেটের ২৪৩ নম্বর স্টলে। একই সাথে আবির প্রকাশন থেকে এসেছে লেখিকার ” নির্ভরযোগ্য গোপনীয়তা” কবিতার বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ। এই বইটিও পাওয়া যাবে বইমেলার ৩৪৭ নম্বর স্টলের আবির প্রকাশনীতে। মেলা ছাড়াও বইগুলো ঘরে বসে রকমারি ও অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করা যাবে।