রমাদানে যে যে আমল করবেন-
১) চাঁদ দেখুন। ফরজ়ে কিফায়া। সবার জন্য সুন্নাত।
২) তারাবীহ সালাত আদায় করুন। ২০ রাকাত সম্ভব না হলে অন্ততঃ ৮ রাকাত। সুন্নাত।
৩) তাহাজ্জুদ আদায় করুন। কমপক্ষে ২ রাকাত।রাসূল (সাঃ) বেশিরভাগ ৮ রাকাত আদায় করতেন। সুন্নাত।
৪) সেহেরী খাবেন শেষ সময়ের দিকে। অন্ততঃ একটা খেজুর খাবেন। সুন্নাত।
৫) সিয়াম পালন করুন। ফরজ।
৬) ইফতার করবেন। খেজুর/ পানি দিয়ে শুরু করবেন। সুন্নাত।
৭) প্রতিদিন অন্তত একজন সাওম পালন কারীকে ইফতার করাবেন যদিও একটি খেজুর/ এক গ্লাস পানি দিয়ে।সুন্নাত।
৮) সব সালাত জামাতে আদায় করবেন। ওয়াজিব।
৯) প্রতিদিন কিছু দান করবেন। সুন্নাত।
১০) সব হারাম বাদ দিবেন। ফরজ।
১১) অন্তত ১ বার কুরআন মাজীদ খতম করুন। সুন্নাত।
১২) রমাদানের শেষ ১০ দিন লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করুন। অন্তত শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাত্রি গুলোতে।সুন্নাত।
১৩) রমাদানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করুন। অন্ততঃ ১ দিন ইতেকাফ থাকার চেষ্টা করবেন। সুন্নাত।
( জুমা মাসজিদে সুযোগ না থাকলে পাঞ্জেগানা মাসজিদেও পারবেন) এবার আপনি এতেকাফ থাকতে না পারলে বাসায় আপনার স্ত্রী/ মা/ বোন/ মেয়েকে এতেকাফ থাকার সু্যোগ করে দিন। আর আপনি বাসার কাজ গুলো করার চেষ্টা করবেন।
১৪) বেশি বেশি আসতাগফিরুল্লাহ পাঠ এবং আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলা হা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি যিকির করবেন। সুন্নাত।
১৫) আল্লাহ তা’য়ালার কাছে বেশি বেশি করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত কামনা করবেন। সুন্নাত।
রমাদান হলো মূলত আত্মশুদ্ধির মাস। তাকওয়া অর্জনের মাস। আসুন, আমরা পবিত্র রমাদানে উপরে উল্লেখিত এই আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সেই তাওফীক দান করুক।
লেখক- ড. মাহমুদুল হাসান
সহকারি অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
খতিব, বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম।