গত মঙ্গলবার (২০এপ্রিল) হালিশহর ও আরেফীন নগরে চসিকের ট্রাসিং গ্রাউন্ড পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এ দু’টি স্থানে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অপসারিত প্রতিদিনের আবর্জনা ও মানব বর্জ্য নিয়ে আসার ফলে জমা হওয়ায় এখন তা পাহাড়সম স্তুপে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা বিঘ্ণিত হওয়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এখানে স্তুপকৃত বর্জ্য ও আবর্জনা সরিয়ে এগুলোকে শোধন করে জৈব সার ও জ্বালানী বা নিত্য ব্যবহার্য অন্য কোন পণ্যে রূপান্তরে প্রযুক্তি ও সরঞ্জামগত সক্ষমতা চসিকের না থাকলেও আপাততঃ অন্য উৎস থেকে সেগুলো সংগ্রহ বা সাহায্য নিয়ে তা করার জন্য দ্রুত কৌশলগত প্রয়োগ-পদ্ধতির চিন্তা-ভাবনা কার্যকর করা হবে।
আমরা এই বিষয়টি অত্যাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় অগ্রাধিকার দিতে চাই এবং এর কার্যকারিতা অর্জনে এখন থেকে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হলো। মেয়র আরেফীন নগরে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত কবরস্থান পরিদর্শন করেন এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়নে করণীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সাগরিকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান ষ্টোর ও সংরক্ষণ গুদামের স্থান পরিদর্শনকালে বলেন, এই স্থানটি চসিকের বিশাল ভূ-সমপদ। এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে তিনি এখানে ওষুধ, রং, বাল্ব, সার, ফিল্টারপানিসহ বেশ কিছু আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তবে পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে অনেক গুলোই বন্ধ হয়ে যায়। যে-গুলো বন্ধ হয়েছে সে-গুলোর প্রকৃত অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মেয়র আরো বলেন, নিমতলায় এবং সাগরিকা মোড়ে চসিকের যে জায়গাগুলো আছে সেখানে একাধিক আয়বর্দ্ধক প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভূমি মালিকানা নিয়ে মামলা রয়েছে। এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৩নং রোডে বিএমডিএফ এর অর্থায়নে নির্মিতব্য বাণিজ্যিক ভবন পরিদর্শনকালে বলেন, ভবনটির নির্মাণ কাজ দ্রæত সম্পন্ন শেষে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজে লাগানো হলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
এ সময় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, শাহেদ ইকবাল চৌধুরী বাবু, মো. আবদুল মান্নান, মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, মির্জা ফজলুল কাদের, জয়সেন বড়–য়া, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এষ্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর উপস্থিত ছিলেন ।