চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী করোনা ভাইরাসে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী নগরবাসীকে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম ও চলমান ক্রাশ প্রোগ্রামকে জোরদার করার জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর এবং সচেতন নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) নয়াবাজার মোড় হতে ফইল্যাতলী বাজার পর্যন্ত রাস্তার ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও মশক নিধন স্প্রে কাজ চলমান কালে নগরবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ প্রতিশ্রুতির পরও নগরীর কোন কোন এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে এবং ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বিঘিœত হচ্ছে। গ্রীস্মকালে তীব্র তাপদাহের সময় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ লাইনের বিপর্যয় সাময়িক হলেও রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য এই ভোগান্তি দুঃসহ ও মারাত্মক।
মেয়র আশা প্রকাশ করেন যে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বর্ষার আগেই প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং মশক প্রজনন বিস্তার রোধে ঔষধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জনবল নিয়োজিত আছে বলে জানান। এবং গুরুত্বপূর্ণ বেহাল সড়কগুলো সারিয়ে তুলে জন ও যান চলাচল উপযোগী করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান।
তিনি আরো বলেন সরকার ২৫ এপ্রিল লকডাউন শিথিল করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দোকান-পাঠ, শপিংমল ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ দিলেও স্বাস্থ্য বিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সকল সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে পালন করতে হবে।