সে লক্ষ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ১৯টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াই সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহন করা হয়েছে। সুতরাং দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে একটি পরিবার হিসেবে পরিষদের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে আধুনিক নগর সাজাতে চাই।
আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপের মাধ্যমে চসিক ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরীর ভাল-মন্দ সব কাজের দায়িত্ব বর্তায় জনপ্রতিনিধিদের উপর। সেক্ষেত্রে নগরীতে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাজই করুক না কেন তা অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অবগত করতে হবে। এ অবগত করা মানে হচ্ছে পারস্পরিক সমন্বয়সাধন।
তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা পূনঃউল্লেখ করে বলেন, চসিকের ভূ-সম্পত্তিগুলোতে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন তাদেরকে তিল পরিমাণও ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যিনি যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন এখানে আপোষের কোন প্রশ্নই আসে না। উচ্ছেদকৃত জায়গাসমূহ যাতে পূনঃ দখল না হয় সে জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা নিরসণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সাড়ে ৬হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চউক। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খালসমূহের কোন কোন অংশে বাধ দেয়া হয়েছে। এ বাধের কারণে পানি চলাচল বিঘ্নিত হবে এবং জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে চউকের চেয়ারম্যানের সাথে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে, তিনি মে মাসের মধ্যেই খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে আন্তরিক প্রচেষ্ঠার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশল বিভাগ সরজমিনে স্পটগুলো চিহ্নিত করেছে। আশা করা যায় তাদের প্রতিশ্রুতি মত পানি চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
তিনি পবিত্র রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্থ করেন যে, করোনাকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য নিরপত্তা সুরক্ষায় সিটি কর্পোরেশন জরুরী সেবা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান রাখবে। বর্ষার আগেই নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং মশক প্রজনন বিস্তার রোধে ঔষধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে চসিকের সংশ্লিষ্ট জনবল নিয়োজিত রাখা আছে এবং তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এক্ষেত্রে কোন ব্যতয় ঘটলে সরাসরি মেয়র বরাবরে অবগত করার কথা উল্লেখ করেন।
নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের তৃতীয় সভায় নিন্মবর্ণিতদের নিয়ে ১৯টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- অর্থ ও সংস্থাপন কমিটির মো. ইসমাইল, শিক্ষা, নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, স্বাস্থ্য, জহর লাল হাজারী, বর্জ্য, মো. মোবারক আলী, নগর পরিকল্পনা, মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী, নগর অবকাঠামো নির্মাণ, গাজী মো. শফিউল আজিম, পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণ আবুল হাসনাত মো. বেলাল, ক্রীড়া, আতাউল্লাহ চৌধুরী, পরিবেশ, শৈবাল দাশ সুমন, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক, নাজমুল হক ডিউক, যোগাযোগ, আব্দুল বারেক, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধণ মো. ইলিয়াস, হিসাব ও নিরীক্ষা কাজী নুরুল আমিন, সমাজ কল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার আবদুস সালাম মাসুম, বাজারমূল্য, মো. আব্দুল মান্নান, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা জহুরুল আলম জসিম, দরিদ্র হ্রাসকরণ, মো. সলিমউল্লাহ, পানি ও বিদ্যুৎ মো. মোর্শেদ আলম, নারী ও শিশু বিষয়ক, জেসমিন পারভীন জেসি, সাধারণ সভা পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব) বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী লে: কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোশেদুল আলম চৌধুরী।