আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী ভবনে সম্মেলনকক্ষে বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত পরিষদের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়-নদী-সমুদ্র-সমতল বেস্টিত এক অপরূপ সুন্দর নগরী। এই নগরী প্রাকৃতিক প্রাচুর্য্যে ভরপুর। শুধুমাত্র পর্যটন খাত থেকে বিশাল আয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও তা অর্জন হয়নি। এক সময় চট্টগ্রাম ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল প্রাণকেন্দ্র। এখন তা আর নেই। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও এতদসংক্রান্ত অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নেই। ‘এই নেই আর নেই’-এটা আমাদের চিন্তা-কর্মের ঐক্য ও সমন্বয়হীনতার নেতিবাচক প্রতিফলের বিরূপ চিত্র।
তিনি আরো বলেন, সবকটা সেক্টর ও ফ্যাক্টরকে একজায়গায় জড়ো করে সম্মিলিত শক্তির সমন্বয় সাধন সম্ভব হলে চট্টগ্রামকে আর্ন্তজাতিক মানের নগরীতে পরিণত করা সম্ভব। ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে এক জায়গায় আসতে হবে। তাই একা স্বপ্ন দেখলে চলবে না। তাই স্বপ্ন পূরণে চিন্তা ও কর্মের ঐক্যের বিকল্প নেই।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামে এক সময় পোশাক শিল্পের জৌলুস থাকলেও এখন নেই। আগে চট্টগ্রামে ৭০০ তৈরী পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও এখন তা ২৪০টিতে নেমে এসেছে।
বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এম.এ সালাম বলেন, করোনা মোকাবেলায় এলাকা ভিত্তিক লকডাউন আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে তৈরী পোশাক শিল্পকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখলে অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে।
বিজিএমইএ’র প্রাক্তন সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ রক্ষায় মেয়রের নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি থাকা উচিত। এতে ব্যবসাখাত গতিশীলতা পাবে।
প্রাক্তন পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তুফান বলেন, বিজেএমইএ ছিল চসিকের বিশ্বস্ত পার্টনার। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতেন। বর্তমান মেয়রের কাছে আমরা অভিভাবকত্ব চাই।
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোজাম্মেল হক, কাউন্সিলর নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রফিকুল আলম চৌধূরী, পরিচালক এম.ডি.এস মহিউদ্দিন চৌধুরী, এ.এম শফিউল করিম (খোকন), মোহাম্মদ হাসান (জেকি), এম.এহসানুল হক, প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাস উপস্থিত ছিলেন।