স্বাস্থ্য ডেস্ক :
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনার জন্য সরকার অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘। শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার প্রয়াস অব্যাহত আছে। চীন থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে। এই টিকা ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে।
সোমবার (৭ জুন) সকালে জাতীয় সংসদের নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 0সিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। চুক্তি মোতাবেক বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সিরামের সরবারাহ কার ৭০ লাখ এবং ভারত সরকারের উপহারে পাওয়া ৩২ লাখ ডোজ, মোট ১ কোটি ২ লাখ ডোজের মধ্যে ১ কোটি ডোজ টিকা প্রদান হয়েছে। রাশিয়া থেকে ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক-ভি কেনা প্রক্রিয়াধীন।’
ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকাদান শিগগিরই শুরু হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি খাতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অক্সিজেন ব্যবহারের মূল্য এবং এক্স-রে ও সিটিস্ক্যানসহ ১০টি জরুরি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সহনশীল মাত্রায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় আরও দুটি পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন হলে অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্যও নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।’