নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোমবার (০৭ জুন) সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় বিরোধীদলীয় সদস্যরা অর্থ পাচারের প্রসঙ্গ তুললে আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, কারা টাকা নিয়ে যায় সেই লিস্ট আমার কাছে নেই। আপনাদের কাছে লিস্ট থাকলে আমাকে নামগুলো দেন। কাজটি করা আমাদের জন্য সহজ হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, এখনও অনেকেই জেলে আছে। বিচার হচ্ছে। আগে যেমন ঢালাওভাবে চলে যেত, এখন তেমন নেই।
সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, বিদেশে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!
জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংকের টাকা নিচ্ছে। টাকা নিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ পাঠাচ্ছে। দুদকের একটি অফিস কানাডায়, মালয়েশিয়ায়, অস্ট্রেলিয়ায় করুন। তাহলে দেখা যাবে কে কত টাকা নিয়েছে। পিকে হালদার এত টাকা নিল! নয় মিনিটের জন্য পিকে হালদারকে ধরতে পারেনি।
সংসদ সদস্যদের এসব বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত টাকা বিদেশে চলে যাবে, আপনাদের যেমন লাগে, আমারও লাগে। আমি অনিয়ম, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আগে সিমেন্টের নাম করে বালি আসত। আন্ডারইনভয়েসিং, ওভারইনভয়েসিং আগের মতো হয় না। একদম বন্ধ হয়ে গেছে বলব না। পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই না।