চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বমানের পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়তে চাই – চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখতে চাই। নগরবাসী যাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারে এবং সচেতন হয় সেই ব্যাপারে ওয়েবসাইটে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভার্সন এর মাধ্যমে প্রতিবছর বার্ষিক প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে একটি বিশ্বমানের পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত নগর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক মেয়র দপ্তরে জাইকা কর্তৃক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ২০১৯-২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন।

পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন জাইকার ন্যাশনাল ডেপুটি টিম লিডার প্রকৌশলী মো. গোলাম সরওয়ার। পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন কালে ডেপুটি টিম লিডার আধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে কঠিন ও তরল বর্জ্য দূষণমুক্ত পরিবেশে অপসারণ করা যায় সেই বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেন। ইতোমধ্যে জাইকা নগরীর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বেশকিছু যানবাহন, যন্ত্রাংশ ও অটো ভ্যানগাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে ময়লা অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ু দূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়।

আধুনিক বিশ্বে থ্রি-আর অর্থ্যাৎ রিসাইকেল, রিডিউস ও রিইউস এই তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এরকম আরো আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়া এবছরে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ল্যান্ডফিল্ডে ইনসিনেটর এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মেয়রকে অবহিত করেন। মেয়র নগরীর বর্জ্য অপসারণে আরো কম্পেক্ট গাড়ির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাইকার প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় চসিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক,সচিব খালিদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী জয় সেন বড়ুয়া ও জাইকার প্রকৌশলী মাহমুদ ইবনে সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
Comments (0)
Add Comment