নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশের জেলা ও উপজেলাগুলোতে ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে একই ডিজাইনে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ। নির্মিত ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫০টি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা ভার্চুয়ালি সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৫৬০ মসজিদ নির্মাণ করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে মোট ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আজ তা উদ্বোধন করা হলো।
সরকারি সহায়তায় দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় কমপক্ষে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা।
এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মানের মধ্য দিয়ে উপজেলার সৌন্দর্য্যের সাথে বৃদ্ধি পাবে দেশের গৌরব। এই মডেল মসজিদের মাধ্যমে সূচনা হবে দেশে নতুন ইতিহাসের অধ্যায়। ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে নবনির্মিত মডেল মসজিদ।
নান্দনিক এই মডেল মসজিদে প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত করা হবে।