নিজস্ব প্রতিবেদক:
মনের সাধ ও আভিজাত্য বাড়ানোর জন্য ঘরের ভেতর রাখা দামি আর সখের জিনিসগুলো শোভা বাড়ায়।বসার ঘর বা ড্রইংরুমে অতিথির আগমন হয়। তাই এখানে রাখা যায় নানান ধরনের দেশি বিদেশি গাছ।
“ফুল দেয় এমন গাছ নির্বাচন না করাই ভালো কারণ ফুল ফোটার জন্য যে আলো ও বাতাস প্রয়োজন তা ঘরের ভেতর পাওয়া যায় না।” বসার ঘরে গাছ রাখার জন্য কোণাগুলো বেছে নেওয়া যায়। ল্যম্প শেইডের আশপাশে গাছ রাখলে আলো ছায়ার খেলা উপভোগ করা যায়।
তবে কোনোভাবেই ঘরে ক্যাক্টাসজাতীয় গাছ রাখা ঠিক নয় এতে মন বিষিয়ে ওঠে আর নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু মানিপ্ল্যান্ট আছে যা খুব কম রোদে ভালো থাকে অর্থাৎ বেশি দিন টেকে। এই ধরনের গাছ বাথরুমেরাখার জন্য বিশেষ উপযোগী।বসার ঘর থেকে খাবার ঘরের দিকে যাওয়ার জায়গায় মানিপ্ল্যান্ট, পাতাবাহার বাবাটার ফ্লাই গাছ রাখা যায়। এছাড়া বেসিনের উপরে বা জানালার গ্রিলে মানিপ্ল্যান্ট দেখতে বেশ ভালো লাগে বলে
তুলসীগাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। তুলসীগাছের ঝাঁঝালো গন্ধ মশা তাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পানি এবং প্রয়োজনীয় যত্ন নিলেই এটি বেঁচে থাকে।
অভ্যন্তরীণ উদ্ভিদগুলো কেবল বাড়ি নয়, কাজের জায়গারও নিখুঁত করে তোলে। কর্মক্ষেত্রে ,গুলো ডেস্কে রাখলে ইতিবাচকতার মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করবে।গাছ শুধু ঘরে রাখলেই চলবে না, এদের যত্নও করতে হবে। তাই নিয়মিত গাছে পানি দেওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে রোদের ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েকদিন পর পর গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।
যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন “পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম। তাই এক ধরনের গাছ নয় বরং বাড়িতে দুতিন রকমের গাছ রাখুন। প্রতি সাতদিন পর পর গাছের অবস্থান বদলে দিন। এতে নতুনত্ব আশার পাশাপাশি মনে প্রফুল্লতাও আসে।”
চাইলে বাথরুমেও গাছ রাখতে পারেন। গোসলখানায় রাখা গাছের সঠিক যত্নের বিষয়ে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। ঘরের ভিতরের গাছগুলো চড়া রোদে রাখা যাবে না। হাল্কা রোদ আসে এমন জায়গায় বা বারান্দায় রেখে রোদ লাগাতে হবে।ছোট গাছ রাখার পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সিরামিক বা প্লাস্টিক নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়। যেহেতু দিনভরই এই জায়গা আর্দ্রস্নানঘরে থাকে তাই এখানকার গাছে বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।