লকডাউনে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ সত্ত্বেও ছুটছে মানুষ

নিজস্ব  প্রতিবেদক:

শত শত মানুষ, যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। যাত্রীরা কেউ কুমিল্লা, কেউ নোয়াখালী-চট্টগ্রাম বা আশপাশের কোনো জেলায় যাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার যান চলাচল করবে না জেনেই তারা রওনা হয়েছেন।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, রাজবাড়ি ও গোপালগঞ্জ) সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা ও ঢাকার বাইরে থেকে এসব জেলায় যানবাহন এবং মানুষের প্রবেশ ও প্রস্থানে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। ফলে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে টহল বসিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গুলিস্তান ও সায়েদাবাদ থেকে বিআরটিসিসহ বিভিন্ন ছোট ছোট বাস নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচল করছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা এসব গাড়িতে যাচ্ছেন।

লকডাউন ও সংক্রমণের ঝুঁকি জেনেও তারা একটু একটু করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সাইনবোর্ড এলাকা থেকে যানবাহন আবার ঢাকায় ফিরিয়ে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

যাত্রীরা বাসে যেতে না পারলেও মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে, কয়েকবার বাহন বদলে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে যান চলাচল না করায় নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি হচ্ছে বেশি।

কর্তব্যরত  পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না।

মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে মানুষ পরিবহনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তারা সেসব বাহন চিহ্নিত করেও মামলা দিচ্ছেন। সকাল থেকে ছয়টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করেছেন বলে জানান।

 

 

করোনাভাইরাসগণপরিবহনলকডাউন
Comments (0)
Add Comment