রাজশাহী রামেক হাসপাতালে আরও ১৭ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিরেদক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনজন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৩, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন একজন। এ ছাড়া ১৫, ২৫ ও ৩৯/৪০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

এদের মধ্যে আটজন করোনায় এবং নয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে নয়জনেরই বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, দুজন নওগাঁর এবং দুজন নাটোরের বাসিন্দা। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।

এর আগে গত ২৪ জুন ১৮ জন প্রাণ হারান করোনা ইউনিটে। এটিই ৪৮ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ৪ ও ২৩ জুন এই ইউনিটে ১৬ জন করে প্রাণ হারান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২৯ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪৮ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪.৪৯ শতাংশ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা। আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা ৩৫৭টির মধ্যে রোগী শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ৪৩১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।

এদিকে জেলা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ ১৬তম দিনের মতো চলছে রাজশাহী মহানগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন। তৃতীয় দফায় ৩০ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সর্বাত্মক লকডাউন দ্বিতীয় দফায় ২৪ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো। এর আগে প্রথম দফায় ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ছিল।

সর্বাত্মক লকডাউন পরিস্থিতি সবসময় অবলোকন করছেন প্রশাসন। কিন্তু রাজশাহী নগরীর মানুষ লকডাউন মানলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ব্যাংক-বীমা, কাঁচাবাজার খোলা রাখা ও আম পরিবহন ও বিপণনের জন্য বেশ কিছু মানুষকে বিভিন্ন সময়ে বাইরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।

পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। তারা লকডাউনে বাইরে চলাচলকারীদের পথ রোধ করছেন এবং সন্তোষজনক উত্তর পেলেই তাদের গন্তব্যে যেতে দিচ্ছেন। এ সর্বাত্মক লকডাউনে আমসহ কৃষিজাত পণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবা পরিবহন ছাড়া দূরপাল্লার বাস, স্থানীয় গণপরিবহন ও রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

 

 

 

করোনাভাইরাসকরোনায় আক্রান্ত মৃত্যুমৃত্যু
Comments (0)
Add Comment