নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবার ঈদুল আজহায় মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া, ৪ হাজার ৭৬৫টি অন্য প্রজাতিসহ (উট, দুম্বা) সর্বমোট প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি গবাদি পশু প্রস্তুত আছে। জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রবিবার ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত দুটি কোরবানির ঈদে আমরা দেশের বাইরে থেকে পশু আসতে দেইনি। তাতে পশুর সংকট হয়নি। এবছরও দেশে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। সীমান্তেও আমরা যোগাযোগ করছি যাতে চোরাইপথে বা অন্য কোন পথে একটা পশুও দেশের ভিতর প্রবেশ করতে না পারে। কারণ আমাদের খামারিদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা অনেক কষ্ট করে খামার তৈরি করেছে, বিনিয়োগ করেছে। তাদের পশু বিক্রি হবে না, বাইরে থেকে আসবে, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। দেশে এখন ৪১ কোটি ২২ লাখ ৪৪ হাজার গবাদি প্রাণি মজুদ আছে। এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা এবং সকল প্রকার সহযোগিতার কারণে সরকারি-বেসরকারি খাতে এ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশটা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। আমাদের দেশে মাংস, দুধ ডিমসহ অন্যান্য প্রাণিজাত পণ্য যেভাবে উৎপাদন করা সম্ভব, এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই সম্ভব নয়। এসব পণ্য আমরা বিদেশে রফতানি শুরু করেছি।
ঢাকার বাইরে প্রতিটি পৌরসভা এবং গ্রোথ সেন্টারে আধুনিক স্লটার হাউস নির্মাণেল পরিকল্পনার কথাও এসময় জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্লটার হাউসে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গরু জবাই হবে, যেখানে রক্ত বা বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও সংযুক্ত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শমী কায়সার, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা হবে।