বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় এ যাবতকালের সবচেয়ে বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এই সংখ্যা ১৬৪ জন।এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে নয় হাজার ৯৬৪ জনের দেহে।এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক শূন্য ১৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি।
সোমবার (৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার ২৯ হাজার ৮৭৯টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ২২৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নয় হাজার ৯৬৪ জনের দেহে এই ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনে রেকর্ড। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৬০৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৫ হাজার ৪২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার দুটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা আট লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৬৪ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২, চল্লিশোর্ধ্ব ১৮, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ এবং ষাটোর্ধ্ব ৮৩ জন।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রামে ১৮ জন, রাজশাহীতে ১৬ জন, খুলনায় ৫৫ জন, বরিশালে ৯ জন, সিলেটে আটজন, রংপুরে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।