খেলা যখন শেষ, বাঁশি বাজলো শিরোপা জয়ের। সেইসঙ্গে ক্যামেরা মেসির দিকে। দেখা গেল মেসির কান্না। এ কান্না আনন্দের, নিজের জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের। সঙ্গে জড়ো হলেন সতীর্থরা। শুরু হলো মেসিকে কাঁধে তুলে পুরো টিমের উল্লাস।
স্বপ্নপূণের এই উল্লাস যখন চলছিল তখন অপরদিকে কাঁদছিলেন নেইমার। এই কান্না বেদনার। হতাশার। বুক ভরা হতাশা নিয়েই তাই থামতে হয়েছে নেইমারকে। তবে মাঠে তিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। সতীর্থদের উৎসাহ যুগিয়েছেন, সমর্থকদের বলেছেন তাদের সমর্থনের মাত্রাটা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে।
কিন্তু এতকিছুর পরও আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে পারেননি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়েছিলেন। মাসের পর মাস বাইরে থেকেছেন মাঠের। ওই টুর্নামেন্টে ভরাডুবি হয়েছে তার দলেরও। গত বারের গল্পটা তো আরও হতাশার। দল কোপা আমেরিকা জিতেছে। অথচ নেইমার কি না খেলতে পারেননি ইনজুরির জন্য।
এবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা- দুটো সেরা পুরস্কারই উঠল মেসির হাতে।
শুধু খেলাই নয়, পুরো টুর্নামেন্টটাই নিজের করে নিলেন। অসাধারণ খেললেন প্রথম ম্যাচ থেকে। পুরো মেসিময় একটি টুর্নামেন্ট দেখলো ফুটবল বিশ্ব। অবশেষে এবারের কোপা আর হতাশ করেনি বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারকে। মারাকানাও খালি হাতে ফিরিয়ে দিলো না ফুটবলের বরপুত্রকে। দু’হাত ভরে দিলেন।