নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জে দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে সিটিটিসি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে সিটিটিসি। সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা।
সোমবার (১২ জুন) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জে দুটি পৃথক আস্তানায় অভিযান চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখান থেকে ৩টি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুই বাড়িতে বানানো আইইডি দিয়ে পুলিশের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। এর আগে গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যে বোমাটি রাখা হয়েছিল সেটি গ্রেফতারকৃত মামুনের আস্তানায় তৈরি করে তার এক সহযোগীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
সিটিটিসি প্রধান জানান, মো. কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা জানায় সে দীর্ঘদিন থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সে ওই সংগঠনের সামরিক শাখার অন্যান্য সদস্যদের সাথে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত। বাংলাদেশের নব্য জেএমবির আমীর মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর সাথে সে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো বলে জানায়।
গ্রেফতার জঙ্গিদের পরিকল্পনা কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আপনারা জানেন ঈদের পর পর গত ১৭ মে তারা পুলিশ বক্সে বোমা রেখে এসেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল এ ধরনের বিস্ফোরকের মাধ্যমে তাদের যে টার্গেট ছিল সেখানে হামলা করা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল তাদের অন্যতম টার্গেট।