করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। আমরা এখন এর প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তারা বলেছে, এবারের ঢেউয়ে বড় আতঙ্কের কারণ হতে পারে অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
তিনি বলেন, কিছু কিছু দেশে টিকার অভাব আর টিকা হয়ে যাওয়া দেশগুলিতে করোনা বিধি মানার গাফিলতিই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে আমাদের।
তার পরামর্শ, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পৃথিবীর সবকটি দেশকে তাদের মোট জনসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। আর এ বছরের শেষে প্রতিটি দেশের নাগরিকদের অন্তত ৪০ শতাংশকে টিকা দিতে হবে।
ডেল্টা রূপ নিয়ে ইতোমধ্যেই দুশ্চিন্তায় বিশ্বের ১১১টি দেশ। ডব্লিউএইচওর প্রধান জানালেন, ডেল্টার বিস্তার আর তার সঙ্গে করোনাবিধি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুও।
ঊর্ধ্বমুখী এই পরিসংখ্যান দেখেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, করোনাভাইরাস যে ক্রমশ নিজেকে বদলাচ্ছে এবং আরও সংক্রামক রূপ নিচ্ছে, তা ভুলে গেলে চলবে না।
তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, করোনার ডেল্টা রূপ ইতোমধ্যেই ১১১টি দেশে ছড়িয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, খুব শিগগিরই এই রূপ গোটা বিশ্বে আধিপত্য করবে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা গত চার সপ্তাহ ধরে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। হুয়ের নির্ধারিত ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা নজরে এসেছে।
গত সপ্তাহে টানা চতুর্থ সপ্তাহের মতো বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে দেখা গেছে। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোতেই রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে। টানা ১০ সপ্তাহ কমার পর সম্প্রতি করোনায় মৃত্যুও ফের বাড়তে শুরু করেছে।
করোনার এই ভয়াবহতা ঠেকাতে টিকাদানের বিকল্প নেই বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিটি দেশের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানের কথাও ফের উল্লেখ করেন তিনি।