করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ৯টি সতর্কতা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সতর্কতা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার যদি স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা আবশ্যক।
১. নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলে প্রি-স্কুল ছাড়া সব স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়া যেতে পারে।
২. সব স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করা এবং ব্যত্যয় হলে সে ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা (৫ বছরের কমবয়সী শিশু ছাড়া ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী)।
৩. স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ শিক্ষক ও কর্মচারীর করোনার টিকা নেওয়া থাকতে হবে।
৪. উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৮ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. শ্রেণিকক্ষে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নির্দিষ্ট ক্লাস কোনটি সপ্তাহের কোন দিন হবে তা বিভক্ত করে দেওয়া যেতে পারে।
৬. আবাসিক সুবিধা সম্বলিত স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিচের পরামর্শগুলো প্রযোজ্য (মাদরাসাসহ):
ক. সব সমাবেশ স্থানে (ক্যাফেটেরিয়া, ডাইনিং, টিভি/স্পোর্টস রুম ইত্যাদি) বন্ধ রাখা,রান্নাঘর থেকে রুমগুলোতে সরাসরি খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা থাকা।
খ. একাধিক শিক্ষার্থী একই বিছানা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবে।
গ. মাদরাসায় একসঙ্গে নামাজ, সমাবেশ ইত্যাদির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশনা মেনে চলা।
৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার আগে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মচারীদের একটি অরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
৮. স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ ও দৈনিক রিপোর্ট করতে হবে।
৯. সব বিধিনিষেধ সুষ্ঠু পালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মনিটরিং টিম গঠন করে দৈনিক মনিটরিং করতে হবে।