ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক মেয়রকে প্রশ্ন করেন- ২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়িয়ে ছিল। চলতি বছরের ডেঙ্গুর উপদ্রব আবার বেড়েছে। আপনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেড় বছর হলো। এখন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন কি-না?
এর জবাবে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০১৯ সালকে আমরা আমাদের সবচেয়ে খারাপ সময় হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু চলতি বছর অনেক অপপ্রচার, অপরাজনীতি, কূটকৌশল, বিভিন্ন চক্র থাকা সত্ত্বেও আজ অব্দি আমাদের এক হাজার ৫০ জন মশক কর্মী ও কাউন্সিল-কর্মকর্কতাদের নিরসল কাজের মাধ্যমে ২০১৯ সালের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
মেয়র আরও বলেন, ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায়, সেসময় শুধু আগস্ট মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫২ হাজারের ঊর্ধ্বে। সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছিল ১৬ হাজারের ঊর্ধ্বে। জুলাই মাসেও ১৬ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে তখন এক লাখ ৫৫ হাজার বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন আমাদের পরিশ্রমে ১৫ হাজারের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করার পায়তারা করেছিল উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, তারা মনে করেছিল আমাদের কীটনাশক-যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়েছিল। কিন্তু আমরা যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি, সেটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে যথার্থ প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গু রোগীদের ঘরে ঘরে গিয়েছি। ২৭ হাজারের মতো আবাসিক স্থাপনা-ভবন পরিদর্শন করেছি। যেখানে লার্ভা পেয়েছি কীটনাশক দিয়েছি। তবে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।
নগরে এখনও মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, গত পাঁচদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। ডেঙ্গু আক্রান্তদের ভবনের আশপাশের এলাকায় কীটনাশক ছিটানো হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪০-এর নিচে নেমেছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনেক বড় মনে হয়, কিন্তু আমার যখন এই তালিকা যাচাই করি, তখন দেখি সেটা আরও কম।
তিনি বলেন, গত পাঁচদিনে ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গু ১৮ শতাংশের নিচে। সামগ্রিক ৩০ শতাংশের কম। এখন নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই। ডেঙ্গু এখন নিম্নমুখী।