করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ মাসেই (সেপ্টেম্বর) আবারও বড় পরিসরে সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্যাম্পেইনের আওতায় এক কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বড় পরিসরে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সারাদেশে বড় পরিসরে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া বর্তমান টিকাদান কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা পাওয়ার পাশাপাশি নতুন করে আরও ৭১ লাখ টিকা পাব। দুই দিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতরাতে সিনোফার্মের নতুন করে ৫০ লাখ টিকা এসেছে, সামনে আরও আসবে। ফলে আবারও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কোটি টিকা দেওয়া হবে।
বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর পরীক্ষা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শুরু হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, জায়গা সংকটের কারণে ল্যাব তৈরিতে দেরি হয়েছে। গত পরশু আমরা জায়গা ঠিক করে এসেছি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা বলেছি বিমানবন্দরের মধ্যেই জায়গা দিতে হবে। সেখানেই জায়গা রেখেছে। আজকের মধ্যেই বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হবে। আজ সন্ধ্যা থেকেই সেখানে মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরে গতকাল থেকেই একটি মোবাইল ল্যাবের মাধ্যমে পিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। মোবাইল ল্যাবটি বাইরে বসানো হয়েছে। আজ থেকে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বিমানবন্দরের ভেতরে স্থাপনের কাজ শুরু করবে। আগামী ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই পিসিআর পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ অধ্যাপকসহ জেলা প্রশাসক প্রতিনিধি, জেলা পর্যায়ের সিভিল সার্জনসহ মাঠ পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।