ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরিতে ভুগছেন পেসার হাসান মাহমুদ। তার চোট সারাতে সফট টিস্যু ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়ায় আগানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ। গত মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে মাঝপথে দেশে ফিরে আসেন হাসান মাহমুদ, এরপর থেকে চলছে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া। যদিও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বড় কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে দীর্ঘ ছয় মাস কেটে গেলেও মাঠে ফিরতে পারচ্ছেন না তিনি। অবশেষে তাকে বিদেশ পাঠানোর কথা ভাবছে ক্রিকেট বোর্ড। সঙ্গে অভিষেক দাসকেও।
এতোদিন হাসান মাহমুদের চিকিৎসার উন্নতির প্রসঙ্গ উঠলে ইতিবাচক কোন জবাব দিতে পারেনি বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ। এই পেসারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কেন বিদেশ নেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে দায় ফেলা হয় করোনাভাইরাসের উপর। এই মহামারির কারণে চিকিৎসা ভিসা পেতে নাকি বেগ পেতে হয়েছে। অবশেষে হাসান মাহমুদকে বিদেশ পাঠাচ্ছে বিসিবি। তেমনটাই জানালেন বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেবাশিষ বললেন, হাসান আমাদের তত্ত্বাবধানে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছি। তাতে বড় কোনো সমস্যা পাইনি। এখন মনে করছি ওর প্রপার বায়োমেকানিক্যাল এসেসমেন্ট দরকার। যেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে সম্ভব নয়। এখন চেষ্টা করছি বিদেশে পাঠিয়ে ফুল এসেসমেন্ট করার।
কবে হাসান মাহমুদকে বিদেশ পাঠানো হতে পারে তার উত্তরে দেবাশিষের জবাব, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা রয়ে গেছে। আমরা ২-৩ জায়গায় কথা বলছি। ঠিকমত এগোতে পারলে আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ওকে দেশের বাইরে পাঠাতে পারব।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নেমে বাজিমাত করেন এই ডানহাতি পেসার। ঢাকা প্লাটুনের জার্সিতে নিজের জাত চিনিয়ে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও গতিময় বোলিংয়ের সঙ্গে নিখুঁত লাইন-লেংথে আলো কাড়েন তিনি। এরপর ডাক পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে। তবে প্রায় দেড় বছরের ক্যারিয়ার থমকে আছে ৩টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টিতেই। দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন তিনি। বর্তমানে রিহ্যাব প্রক্রিয়া চলছে হাসান মাহমুদের।
হাসান মাহমুদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ব্যাক ফ্র্যাকচারের ইনজুরিতে ভুগছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের পেসার অভিষেক দাস। তাকেও বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা বিসিবির। দেবাশিষ জানান, অভিষেককেও আমরা বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করব।
এদিকে চোটের কারণে জাতীয় দলের বাইরে আছে আরেক পেসার আল-আমিন হোসেন। টি-টোয়েন্টির স্লগ ওভারে বেশ কার্যকরী হলেও আসন্ন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাননি তিনি। আল-আমিন প্রসঙ্গে দেবাশিষ বললেন, ‘আল-আমিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। ও মোটামুটি শতভাগ এফোর্ট দিয়ে বোলিং করছে। এখন পর্যন্ত ওর অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। আমরা আশা করি এনসিএলে ওর খেলার সম্ভাবনা আছে।’