বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘দেশে করোনার অতিমারি চলছে। কোথাও যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে, এখন পর্যন্ত তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি’
আজ (শনিবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে এক ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনার সংক্রমণ বিষয়ে এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘এ বছর এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা আশা করছি সময়মতো হবে। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে আমরা তারিখ ঠিক করছি। মধ্য নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের গোড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা হবে।’
প্রাক-প্রাথমিকদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকবে। তিন সপ্তাহ যাক, আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনার সংক্রমণ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকটিতে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিষয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণায় দেখছে। আর আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখি। সেখানে যে সমস্যা হয়েছে; বিশেষ করে মানিকগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তার বিষয়টি নিয়ে আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী ১৫ তারিখে একবার স্কুলে গিয়েছিল। এরপর ৬/৭ দিনের মাথায় সে মারা যায়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওই স্কুলে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী করোনা সদৃশ, তার মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়নি। দশম শ্রেণির যে শিক্ষার্থী করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, ওই শ্রেণির সবাইকে করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। আর কারও মাঝে করোনা সংক্রমণ দেখা যায়নি।’
দীপু মনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি যে, এই স্কুলে এতজন আক্রান্ত, ওই স্কুলে অতজন আক্রান্ত। আমরা সবগুলো গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়গুলোর সত্যতা আমরা পাইনি।