নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৭৫ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
আজ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।
এদিকে গণটিকা কর্মসূচির সময় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। প্রথম ধাপের গণটিকা কর্মসূচির অভিজ্ঞতায় আজ ভোর থেকেই টিকা নিতে এসে কেন্দ্রগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। কিন্তু সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় দুপুর আড়াইটা থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ অবস্থায় লাইনে দাঁড়িয়ে বিপাকে পড়েছেন টিকা প্রত্যাশীরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে টিকা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকেই আগে থেকে সময় না জেনে এসে অপেক্ষা করছিলেন। তারা জানতেন না কখন টিকা দেওয়া শুরু হবে।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আড়াইটা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যারা ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এখনও এসএমএস পাননি, তারাই এই কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিতে পারবেন। তবে ষাটোর্ধ্বরা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে আসলে তাদেরও টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন লাগবে না।
তিনি বলেন, টিকা গ্রহণকারীরা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজের নেবেন, এক মাস পর সেখান থেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন।
এর আগে, ডিএনসিসির নির্ধারিত ৫৪টি টিকা কেন্দ্রে একযোগে পরিচালিত গণটিকার আওতায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জনকে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছিল।