নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুর্নীতি মামলায় ৮ বছরের সাজার বিরুদ্ধে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ একইসঙ্গে বাবরকে নিম্ন আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে দেন।
হাইকোর্ট আদেশে বলেন, প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখায় থাকা মালিকানাবিহীন ১০ লাখ ইউএস ডলার বাজেয়াপ্তই থাকবে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন বাবর।
গত রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আপিলের একটি অনুলিপি পেয়েছি। ১২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় করা হয়।
মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করার কথা উল্লেখ করা হয়।