নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধা শহরের খানকাহশরীফ এলাকায় মা ও সৎ ভাইকে ঘরে আটকে রেখে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বখাটে ছেলের বিরুদ্ধে। এ সময় মা মামুনি বেগম ও শিশু (৩) ছেলে প্রাণে বাঁচলেও আগুনে পুড়ে গেছে ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ওই এলাকার জিয়াউর রহমানের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছেলের নাম অনিক মিয়া। অনিক মিয়া, মামনি বেগম ও সাবেক স্বামী আবদুর রশিদ প্রধানের তৃতীয় ছেলে। অনিক তার বাবা আব্দুর রশিদের সঙ্গে গাইবান্ধা পৌর শহরের কুটিপাড়া এলাকার বাড়িতে বসবাস করেন।
বাড়ির মালিক জানান, হঠাৎ তিনতলা বাসার নিচের টিনসেড ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ–পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান এ বিষয়ে জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে অনিকসহ তিন ছেলেকে রেখে মামুনি বেগম বিয়ে করেন জিয়াউর রহমানকে। বর্তমানে মামুনি ও জিয়াউরের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্বামীর ছেলে অনিক মামুনির কাছে টাকা দাবি করে আসছিল। টাকা না দিলে নানা হুমকি দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ খানকাহশরীফ এলাকার বাসায় এসে মামুনিকে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান সে। পরে এলাকাবাসী দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
মামুনি বেগমের অভিযোগ, সম্প্রতি চুরির মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে অনিক। টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সৎ ভাইসহ তাকে হত্যার উদ্দেশে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন সে।