ভূমিকম্পের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এবং খাজা রোড এলাকায় দুটি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে|
গত শুক্রবার ভোরে অনুভূত মাঝারি মানের ভূমিকম্পের কারণে চকবাজারের কাপাসগোলা সড়কের রহমান ভিলা হেলে পড়ে। এতে ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিছ তালা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাক রয়েছে। কিন্তু উপরের তিন তলা থেকে চাদ পর্যন্ত অংশটি পাশের ভবনে লেগে আছে। একইভাবে চান্দগাঁও থানার খাজা রোড এলাকায় হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল ভবন। ওই দুটি স্পটে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে।তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম কাপাসগোলা উর্দু গলিতে গতকাল যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল সেটার পরপরই পাশাপাশি দুটি ভবন একটার সাথে আরেকটা লেগে যায়। একটা হচ্ছে চারতলা ভবন এই ভবনটির পাশে ৫ তলা ভবন রয়েছে সেটার সাথে হেলে পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এখানে কিন্তু অধিবাসীরা আছেন। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন এখানে সিটি কর্পোরেশন কিংবা সিডিএ যারা ঝুঁকিপূর্ণ কিনা সেটা নির্ধারণ করে তারা যাতে এটা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিয়েদেন। এখানে চার তলা ভবনটি পাঁচতলা ভবনের একেবারে পাশে লেগে গেছে এবং এটার মধ্যে প্রায় চার তলা ভবনের পাশে কিছুটা ফাট্রো দেখা যাচ্ছে বাইরের অংশে। স্থানীয় জনগণ মনে করছেন এইটা ঝুঁকিপূর্ণ ফলে এখানকার যারা বসবাস করছেন তারাও কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, যখন ভোর ৫ টা ৪৫ তখন আসলে ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং এই ভূমিকম্পের তীব্র আকারে ছিল। এই বিষয়টা হলো যে, একটা দুর্ঘটনায় বলা যায় একটা বিল্ডিং আরেকটা বিল্ডিংয়ে লেগে গিয়েছে। এইটা সম্পূর্ণ যুকিপূর্ণ এইখানে বসবাস যোগ্য যারা আছেন তাদের কতিগ্রস্ত হতে পারে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা যারা আছেন আমরা অন্যদের খুবই আশাবাদী যারা এই বিষয়টা নিয়ে উনারা দেখবেন এবং দিষ্টিক মূলক একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। এর আগে ২০১৭ সালে যেটি চারতলা রহমান ভবন সেটি কিছুটা হেলে পড়েছিল। গতকালকের ভূমিকম্পের পর একেবারে লেগে গেছে। ফলে স্থানীয়দের জন্য এইটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন। আর অন্যদিকে আরও একটি ভবন খাজা রোডে সেখানেও একটি রহিমা ভবন নামে একটি ভবন পাশাপাশি হেলে পড়েছে। ২টি ৪তলা ভবন। তবে এই ২টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কিনা সে ব্যপারে সিডিএ জানান, তাদের বিশেষজ্ঞ টিম আসবে। এসে দেখে এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।