নিজস্ব প্রতিবেদক :
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় বাস থেকে ফেলে দেওয়া স্কুলশিক্ষক রহমত উল্লাহর চিকিৎসা চলছে। তাঁর জীবনশঙ্কা না থাকলেও সেরে উঠতে সময় লাগবে বলে চিকিৎসকেরা জানান।
গতকাল শনিবার সকালে নগরের বটতলী পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় এ শিক্ষককে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। রহমত উল্লাহ পা, হাত ও মুখে মারাত্মক আঘাত পান। বাঁ পা ভেঙে যায়। তিনি এখন মেহেদীবাগের ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ন্যাশনাল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক আমজাদ হোসাইন বলেন, শিক্ষকের সুস্থ হতে সময় লাগবে। বাঁ পায়ের ওপরের হাড়ে চিড় রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘তারা এখনো কোনো মামলা করেনি। আমরা বাস জব্দ করেছি।’ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বাসচালকের সহকারীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রেলস্টেশন এলাকায় তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে ওসি জানান।
আহত রহমত উল্লাহ নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাবিবউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গতকাল রাতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষক রহমত উল্লাহ সদরঘাট এলাকার পিটিআইয়ের (প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) প্রশিক্ষণার্থী। সকালে পিটিআই যাওয়ার জন্য অক্সিজেন এলাকা থেকে নিউমার্কেট অভিমুখী একটি বাসে ওঠেন। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে চালকের সহকারীর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি স্টেশন রোডের বটতলী এলাকায় নেমে যেতে চাইলে নামতে না দিয়ে পুরোনো রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এরপর সহকারী ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে তাঁকে ফেলে দেন। পায়ের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পান তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মেহেদীবাগ এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।